পৃষ্ঠা

বিষহীন বা বিষধর সাপে কামড়ানোর লক্ষণ, সাপে কামড়ালে কি করবেন - কি করবেন না


snake bite


বর্ষাকালে প্রচুর মানুষ সাপের কামড়ে প্রাণ হারান। গ্রাম বাংলায় এর পরিসংখ্যানটা বেশি। সাধারণত আমরা চারপাশে যত ধরনের সাপ দেখতে পাই তারমধ্যে গুটিকয়েক সাপের মারণ বিষ আছে, বেশির ভাগ সাপের মানুষ মারার মত বিষ নেই। একটু সতর্ক হলেই আমরা সাপে কামড়ানো প্রচুর রোগীর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।




বিষহীন সাপে কামড়ানোর লক্ষণ


  • ক্ষতস্থান থেকে তাজা গাঢ় লাল রক্ত চুঁইয়ে পড়বে, কিছুক্ষণের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধবে।
  • কোন যন্ত্রনা হবে না, জ্বালা করলে তা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। তবে ফুলবে না।
  • ভয়ে কাঁপতে পারে তবে তা সামান্যই।
  • রোগী ঝিমিয়ে পড়বে না।
  • খিঁচুনি আসবে না।


বিষধর সাপে কামড়ানোর লক্ষণ





চন্দ্রবোড়া সাপে কামড়ানোর লক্ষণ 

 

snake

 

  • কামড়ের সঙ্গে সঙ্গে তীব্র জ্বালা-যন্ত্রনা শুরু হবে। চুঁইয়ে- চুঁইয়ে রক্ত বের হবে।
  • কামড়ের জায়গাটা দ্রুত ফুলতে থাকে। ক্ষতস্থানে রং চটে যায়।
  • জ্বালা-যন্ত্রনা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
  • চোখ লাল হয়ে রক্তবর্ণ ধারন করে।
  • কোমর ও পাঁজরের নিচের দিকে ব্যথা হয়।
  • সারা শরীর ফুলতে থাকে।
  • মুত্র ত্যাগ বন্ধ হয়ে যায়।
  • চোখের কোনা, দাঁতের মাড়ি, নাক, থুতুর সঙ্গে, বমির সঙ্গে, পায়খানা বা মুত্রের সঙ্গে রক্ত আসতে পারে।



কালাচ সাপে কামড়ানোর লক্ষণ 

 

snake

 

  • কামড়ের স্থান অসাড় হয়ে যায়। ফলে কোন জ্বালা বা যন্ত্রণা হয় না ।
  • ব্যথা বা ফোলা হয় না। অনেক সময় সাপে কামড়ানোর কোন দাগও পর্যন্ত থাকে না।
  • কামড়ের এক থেকে দেড় ঘন্টা পর শুরু হয় পেট ব্যথা।
  • হাত ও পায়ের গাঁটে গাঁটে ব্যথা শুরু হয়। সারা শরীরে ব্যথা বা যন্ত্রনা শুরু হয়।
  • বমি হতে শুরু করে বা প্রচন্ড বমি বমি ভাব, পায়খানা শুরু হয় বা পায়খানার বেগ।
  • মুখ থেকে লালা নিঃস্বরণ হয়। গলায় ব্যথা হয়।
  • ঢোক গিলতে কষ্ট, গলা বন্ধ হয়ে যায়।
  • কথা বলতে কষ্ট হয়, নাকি নাকি স্বরে কথা হয়ে যায়।
  • চোখের পাতা বন্ধ হয়ে আসে। দ্বৈত দৃষ্টি সৃষ্টি হয়।



কাউকে সাপ কামড়ালে কি করবেন


  • রোগীকে শান্ত রাখুন, কোন রকমভাবেই উত্তেজিত করা যাবে না। রোগীকে বোঝান বেশিরভাগ কামড় বিষহীন সাপের দ্বারা হয়। বর্তামানে সাপের কামড়ের অত্যাধুনিক উন্নত চিকিৎসা আছে। সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে।
  • রাগীকে দুর্ঘটনাস্থল থেক সরিয়ে দিন। যে জায়গায় কামড়েছে তা নিশ্চল করুন।
  • রোগীর শরীরে আংটি, বালা, চুড়ি, তাগা, বুট জুতো, মোজা বা কোন শক্ত বাধন থাকলে তা খুলে দিন। ক্ষতস্থান ফুলতে শুরু করলে যাতে কোন অসুবিধা না হয়।
  • যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
  • মনে রাখতে হবে বিষাক্ত সাপের কামড়ের একমাত্র চিকিৎসা হল এভিএস। সমস্ত সরকারী হাসপাতালে বিনামূল্যে এভিএস পাওয়া যায়।



কাউকে সাপ কামড়ালে কি করবেন না 

  • ক্ষতস্থান ব্লেড দিয়ে চিরে বা টিপে ধরে বা চুষে রক্ত বের করার চেষ্টা করবেন না।
  • চিকিতসককে চেনানোর জন্য সাপটিকে ধরার চেষ্টা করবেন না।
  • ক্ষতস্থানের উপরে কোন বাঁধন দেবেন না।
  • ক্ষতস্থানে কোন গরম বা ঠান্ডা জল বা পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দিয় ধোয়ার প্রয়োজন নেই।
  • কোন হাতুড়ে ডাক্তার, ওঝা, গুণিন, টোটকা, জড়িবুটি বা ঝাড়ফুক করে অযথা সময় নষ্ট করবেন না।
  • মনে রাখবেন, সঠিক চিচিকিৎসা ও সচেতনার অভাবে প্রতি বছর বহু মানুষ সাপের কামড়ে মারা যাচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রয়োজনে অবশ্যই কমেন্ট করুন, দয়াকরে কোন স্প্যাম লিঙ্ক কমেন্টে দেবেন না।