পৃষ্ঠা

মোবাইল সিম প্রতারণার নতুন কৌশল, ব্যাংক থেকে উধাও লক্ষ লক্ষ টাকা




mobile


সাবধান! মোবাইল ব্যাংকিং এবং নেট ব্যাংকিং কারীগন সাবধান! মোবাইলে সিম আপডেট করার অনুরোধ করে মেসেজ (SMS) এলে সাবধানইতিমধ্যে অনেক মানুষই লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা খুইয়েছেন প্রতারকদের নতুন এই ফাঁদেকরোনা ভাইরাসের পরিস্থিতে উদ্ভুত লকডাউনে মানুষের অনলাইনের মাধ্যমে কেনাকাটা অনেকটাই বেড়েছে. আর সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে প্রতারকরা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রতারণার নতুন ছক নিয়েতদন্তকারীদের পরিভাযায় এই প্রতারণার নামসিম সোয়াপিং অর্থাৎ বদলে যাচ্ছে আপনার সিম, প্রতারক দের হাতে চলে যাচ্ছে ডুপ্লিকেট সিম আপনার মোবাইলের নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে প্রতারকদের হাতে

ইতিমধ্যেই নতুন এই প্রতারণার শিকার হয়ে 40 লাখ টাকা খুইয়েছেন দুই ব্যক্তি। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃন্দাবনের একটি ধর্মীয় মঠের প্রধান পুরোহিতের অভিযোগের মাধ্যমেই এই নতুন প্রতারণার ছক প্রকাশ্যে এসেছে। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় 29 লাখ টাকা খুইয়েছেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা খোওয়া যাওয়ার দিনই হঠাৎ করে তাঁর মোবাইলের সিমটি অকেজো হয়ে গিয়েছিল।




আরও পড়ুন -- হ্যাকারদের কাছ থেকে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কিভাবে সুরক্ষিত করবেন



ঠিক একই ভাবে 10 লাখ টাকা খুইয়েছেন গুজরাতের এক ব্যবসায়ীও। কী ভাবে হচ্ছে এই প্রতারণা ?

তদন্তকারীদের কথায়, প্রতারকরা টেলিকম অপারেটরের ভেক ধরে একসঙ্গে প্রচুর নম্বরে বাল্ক মেসেজ পাঠাচ্ছে। মেসেজে লেখা থাকছে, সিম আপডেট করার প্রস্তাব, সঙ্গে দেওয়া থাকছে টেলিকম অপারেটরের একটি নম্বর। প্রতিটি মোবাইল সংস্থারই নতুন সিম বা পুরনো সিম আপডেট করার আবেদন জানাতে নির্দিষ্ট নম্বর রয়েছে। সেই নম্বরে  গ্রাহক মেসেজ পাঠালে, টেলিকম অপারেটর আবার মেসেজ করে গ্রাহকের সিম বদলের চূড়ান্ত সম্মতি জানতে চায়। গ্রাহক সেই সম্মতি মেসেজ করলেই গ্রাহকের আগের সিম বন্ধ হয়ে যায়, পুরনো নম্বরেই চালু হয় নতুন সিম।

তদন্তকারীদের কথায়, এই নতুন সিম চলে যাচ্ছে প্রতারকদের হাতে। সিম হাতে পেয়েই বিভিন্ন ব্যাঙ্কের নেট ব্যাঙ্কিংয়ে লগ-ইন করার চেষ্টা শুরু করে দেয় প্রতারকরা। গ্রাহকদের মোবাইল নম্বর যুক্ত করা থাকে নেট ব্যাঙ্কিংয়ের সঙ্গে। সেখানে মোবাইল নম্বর দিয়ে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে নেয় প্রতারকরা। কারণ নেট ব্যাঙ্কিকং বা মোবাইল ব্যাঙ্কিকং প্রতিটি ক্ষেত্রেই ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ডই আসে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে। আর প্রতারকরা সেই সিমটিই নিজেদের দখলে নিয়ে ফেলেছে।’’


তবে কলাকাতায় এখনও কেউ এই ভাবে প্রতারিত না হলেও, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে সাইবার পুলিশ। কারণ, সাধারণত এই ধরনের প্রতারণা কোনও নির্দিষ্ট রাজ্যভিত্তিক হয় না। গোটা দেশ জুড়েই হয়। পাশাপাশি মোবাইল সংস্থাগুলিকেও সিম দেওয়ার সময় গ্রাহকের পরিচয় যাচাইয়ের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে


muktangan

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রয়োজনে অবশ্যই কমেন্ট করুন, দয়াকরে কোন স্প্যাম লিঙ্ক কমেন্টে দেবেন না।