পৃষ্ঠা

জেনেনিন আটটি পদ্ধতি কিভাবে নিজের ফেসবুক সুরক্ষিত করবেন ?

সোস্যাল মিডিয়া বলতে প্রথমেই ফেসবুকের নাম আমাদের মনে আসে। বর্তমানে খুব কম মানুষই আছেন যারা  স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন কিন্তু ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট নেই। আবার এমনও কিছু মানুষ আছেন যাদের একের বেশি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে. ফেসবুক ব্যবহারকারীর সঙ্গে সঙ্গে পাল্লাদিয়ে বাড়ছে ফেসবুক হ্যাকারের সংখ্যা। একটুখানি অসর্তকতার জন্য হয়ত হ্যাক হয়ে যেতেপারে আপনার প্রিয় এই সোস্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টটি। 
প্রতিবেদনটির মাধ্যমে খুবই গুরুত্বপূর্ণ আটটি সেটিংস্-এর কথা বলা হয়েছে, খুব সহজ পদ্ধতিতে কিভাবে এই সেটিংস্ গুলি করবেন তার সম্বদ্ধে বলা হয়েছে।


facebook


টু-ফ্যাক্টর-অথোরাইজেশন (Two-factor authentication) অন করে রাখা

 
আপনি যে ডিভাইসে (মোবাইল বা কম্পিউটার) সাধারনত ফেসবুক করেন, সেটি বাদে যখনই অন্যকোন নতুন ডিভাইস থেকে নিজের অ্যাকাউন্টে লগইন করবেন, ফেসবুক আপনার সেটকরা ফোন নাম্বারে একটি সিকিউরিটি কোড এসএমএসের মাধ্যমে পাঠাবে, কোডটি সঠিক ইনপুট করলে তবেই ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ওপেন হবে।
সুবিধা - হ্যাকার অন্য কোন ডিভাইস থেকে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে গেলে আপনার ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে কোডটি চলে আসবে। আপনি বুঝতে পারবেন অন্য কোন ডিভাইস থেকে কেউ আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি খোলার চেষ্টা করছে, সঙ্গে সঙ্গে আপনি সতর্ক হয়ে যাবেন।


ট্রাস্টটেড কন্টেন্ট (Trusted Contacts) নির্বাচন করে রাখা

 
 ফেসবুকের একটি উল্লেখযোগ্য ফিচার হল Trusted Contacts। আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে আছে খুবই পরিচিত (প্রয়োজনে যাদের সঙ্গে আপনি যোগাযোগ করতে পারবেন) তিন বা চার জন ব্যক্তিকে Trusted Contacts-এ সেট করে রাখুন। যদি কোন কারনে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি অ্যাকসেস করতে অসুবিধা হয় বা ব্লক হয়ে যায়, তাহলে ফেসবুক থেকে আপনার সেটকরা ব্যক্তিদের কোড পাঠানো হবে, কোডগুলি ব্যবহার করে আপনার অ্যাকাউন্টটি পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।
 
Trusted Contacts কিভাবে সেট করবেন?   
 
go to Settings à Choose friends to contact if you are locked out



লগিং অ্যালার্ট (Login alert) নির্বাচন করে রাখা

 
 অজানা কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থেকে আপনার অ্যাকাউন্টটি লগইন করতে গেলেই ফেসবুকের তরফথেকে একটি লগইন সতর্কতা বার্তা আপনাকে ইমেলে বা ফেসবুক বিজ্ঞপ্তি হিসাবে পাঠাবে। যদি আপনি সন্দেহ করেন যে কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশের চেষ্টা করেছে, ফেসবুক আপনাকে আপনার পাসওয়ার্ডটি পুনরায় সেট করতে এবং নতুন করে একটি পাসওয়ার্ড সেট আপ করতে সহায়তা করবে।
Login alert  অপসনটি পাবেন  Settings à Security এর মধ্যে

আপনার প্রোফাইল পিকচার সুরক্ষিত রাখুন

 
 প্রোফাইল পিকচার সোসাল মিডিয়াতে সনাক্তকরণের জন্য প্রাথমিক টুলস্ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। সমস্যা হ'ল যে কেউ আপনার নাম এবং এমনকি আপনার প্রকৃত প্রোফাইল ছবি ব্যবহার করে যখন তখন একটি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারে।
আপনার প্রোফাইল পিকচার অন্য কোন ব্যক্তি যাতে ডাউনলোড বা শেয়ার করতে না পারে, সে জন্য ফেসবুক 'প্রোফাইল পিকচার গার্ড' নামে একটি বৈশিষ্ট্য যুক্ত করেছে।






প্রোফাইল পিকচার গার্ড করার পদ্ধতি
 
 আপনার ফেসবুক প্রোফাইলটি খুলুন এবং বর্তমান প্রোফাইল ছবিতে ক্লিক করুন ('আপডেট প্রোফাইল ছবিতে ক্লিক করবেন না)'। প্রোফাইল ছবিটি খুললে চিত্রের নীচে বিকল্পগুলিতে ক্লিক করুন এবং 'প্রোফাইল পিকচার গার্ড চালু করুন' নির্বাচন করুন। আপনার ছবিতে একটি নীল রংএর বর্ডার প্রদর্শিত হবে এবং অন্য কেউ এই ছবিটি আর শেয়ার বা ডাউনলোড করতে পারবেনা।

আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি কোন কোন ডিভাইসে ওপেন করাহয় তা জানুন

 
 ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, ফোন, ট্যাবলেট ইত্যাদি নানান ডিভাইস থেকে ফেসবুক প্রোফাইল অন করা যায়.  আপনার ফেসবুক প্রোফাইলটি ইতিমধ্যে কোন কোন ডিভাইস থেকে ওপেন করা হয়েছে তা জানুন, করান ইতি মধ্যে হয়ত অন্য কেউ আপনার ফেসবুক প্রোফাইলটি ব্যবহার করছে।



 
 পদ্ধতি
 
Settings à Security এর মধ্যে  Where you're logged in অপসনটি পাবেন  সেখানে আপনি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি যে সমস্ত ডিভাইস (ল্যাপটপ, ফোন, ট্যাবলেট ইত্যাদি) থেকে লগইন করেছেন তার একটি তালিকা দেখায়। আপনার ব্যবহৃত ছাড়া অন্য কোন ডিভাইসের নাম থাকলে সেটিকে সরান। আপনি যদি কোন ডিভাইসের উপস্থিতি সম্পর্কে অনিশ্চিত হন তবে বলব যে আপনি ‘সমস্ত সেশন থেকে লগ আউট’ করে নতুনভাবে লগ ইন করুন। এটি নিশ্চিত করুন যে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আর কারও অ্যাক্সেস নেই।

একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড (Strong Password) তৈরি করা

 
 আপনি যখন ফেসবুকে প্রথম অ্যাকাউন্ট তৈরী করছেন অর্থাত সাইন আপ করছেন তখন প্রথম কাজটি হ'ল একটি ব্যবহারকারীর নাম এবং পাসওয়ার্ড তৈরি করা। আপনার এফবি অ্যাকাউন্ট সুরক্ষা করার জন্য একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করা খুবই জরুরী। ফেসবুকের পাসওয়ার্ডটি সাধারনত 9-অক্ষরের হয়। পাসওয়ার্ডটি এমন ভাবে দেবেন যাতে  আপনি মনে রাখতে পারেন এরকম কিছু অক্ষর, সংখ্যা, এবং অন্তত পক্ষে একটি স্পেশাল ক্যারেক্টার (@, #,? ") যেন থাকে।





ফিশিং লিঙ্কগুলি এড়িয়ে চলুন

 
 ফেসবুকে টাইমলাইনে আসা ডাউনলোড লিঙ্ক থেকে কিছু ডাউনলোড করার আগে দুবার ভাবুন। প্রদত্ত লিঙ্কগুলিতে ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, এমনকি দূষিত সফ্টওয়্যার থাকতে পারে। আপনি যদি এই লিঙ্কগুলিতে যান তবে আপনার বেশিরভাগ ডেটা যেমন আপনার ইমেল, পাসওয়ার্ড এবং ব্যক্তিগত তথ্য যে আপনার টাইমলাইনে সেই লিঙ্কটি দিয়েছিল তার কাছে চলে যাবে।

ব্যক্তিগত ব্রাউজিং (Private Browsing ) ব্যবহার করা

 
 কম্পিউটারে প্রায় সমস্ত ওয়েব ব্রাউজারের ব্যক্তিগত ব্রাউজিং (Private Browsing) বৈশিষ্ট্যটি  রয়েছে। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়া থেকে বিরত থাকার আরেকটি উপায় হল কম্পিউটারে আপনি যে ব্রাউজারটি ব্যবহার করছেন তার ব্যক্তিগত ব্রাউজিং বৈশিষ্ট্যটি ব্যবহার করা।  আপনি যখন এটি অন করবেন তখন আপনার যে কোনও ক্রিয়াকলাপ ব্রাউজিং ইতিহাসে (History list) লগ করা হবে না।




আপনি যদি মাঝে মধ্যেই ইন্টারনেট ক্যাফে এবং লাইব্রেরী ইত্যাদি আলাদা আলাদা কম্পিউটারে ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি লগ ইন করেন তবে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পরে যে ঐ ডিভাইসটি ব্যবহার করবে সহজেই হিস্ট্রি লিস্ট থেকে আপনার ক্রিয়া কলাপ জানতে পারবে। আর আপনি যদি এই বৈশিষ্ট্যটি চালু করে কাজ করেন তবে আপনার চলে যাওয়ার সাথে সাথে হিস্ট্রী লিস্ট থেকে সব মুছে যাবে। নীচে সাফারি, ক্রোম এবং মজিলা ফায়ারফক্সে ব্যক্তিগত ব্রাউজিং অপসানটি কীভাবে অন করা যায় তা  দেখুন -

Safari
 
 সাফারিতে ব্যক্তিগত উইন্ডো খোলার পদ্ধতি  -- 
File à  Private Browsing.






Mozila Firefox
 
 Firefox -এ Tools à Start Private Browsing.







Google Chrome
 
 গুগল ক্রমে ব্যক্তিগত উইন্ডো খোলার পদ্ধতি  --
File à New Incognito Window.





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রয়োজনে অবশ্যই কমেন্ট করুন, দয়াকরে কোন স্প্যাম লিঙ্ক কমেন্টে দেবেন না।