পৃষ্ঠা

জেনে নিন কিসমিসের 12 টি উপকারিতা


Raisins



কিসমিসের সাথে আমরা প্রত্যেকেই পরিচিত। বিভিন্ন মিষ্টি খাবারের স্বাদ এবং সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য তাছাড়া ফ্রাইডরাইস, পোলাও, কোরমা ছাড়াও অন্যান্য অনেক খাবারে কিসমিস ব্যবহার করা হয়। কিসমিস, আঙুর ফলের শুকনা রূপ। এই শুকনো ফলটি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদান রয়েছে যা শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে নিয়মিত কিসমিস খেলে বেশ কিছু ক্রনিক রোগ শরীরের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না

পুষ্টিবিদদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে রয়েছে এনার্জি ৩০০ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ৭৪.১৬ গ্রাম, প্রোটিন .০৭ গ্রাম, ফ্যাট .৪৬ গ্রাম, খাদ্যআঁশ .০৭ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৮৭ মিলিগ্রাম, আয়রন . মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৭৮ মিলিগ্রাম সোডিয়াম ২০. মিলিগ্রাম। ম্যগনেসিয়াম ২৯৯ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১০১ মিলিগ্রাম। তাই প্রতিদিন কিসমিস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।

দেহে শক্তি সরবরাহ করতে

দুর্বলতা দূরীকরণে কিসমিসের জুড়ি মেলা ভার দেহে শক্তি সরবরাহ করতে কিসমিসের অবদান অনেক বেশি কিসমিসে রয়েছে চিনি, গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ, যা তাৎক্ষণিকভাবে দেহে এনার্জি সরবরাহ করে থাকে তাই দুর্বলতার ক্ষেত্রে কিসমিস খুবই উপকারী

রক্তশূন্যতা দূর করতে

রক্তশূন্যতার কারণে আমদের শরীরে অবসাদ, শারীরিক দুর্বলতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যতে পারে, এবং অনেক সময় বিষণ্ণতাও দেখা দেয়। কিসমিসে আছে বেশি পরিমাণে আয়রন, যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।



amla



জ্বর নিরাময় করতে

কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ব্যাকটেরিয়ারোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফলে এটা ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের প্রতিরোধ করে জ্বর নিরাময় করতে সাহায্য কারে।

ইনফেকশনের সম্ভাবনা দূরীকরণে

কিসমিসের মধ্যে রয়েছে পলিফেনলস এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল অ্যান্টিইনফেমেটরী উপাদান। যা কাঁটা-ছেড়া বা ক্ষত স্থানে ইনফেকশন হওয়ার হাত থেকে দূরে রাখে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

কিসমিসে আছে বেশি পরিমাণে ফাইবার, যা আমাদের পরিপাকক্রিয়া দ্রুত হতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।

অনিদ্রা দূরীকরনে

বর্তমানে অনেকেরই সমস্যা ঠিকমত ঘুম আসে না। তাদের জন্য কিসমিস অনেক উপকারি। কারন কিশমিসের মধ্যে রয়েছে প্রচুর আয়রন যা মানুষের অনিদ্রার চিকিৎসায় বিশেষভাবে উপকারী।

ওজন বাড়াতে

কিসমিসে প্রচুর ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ থাকে। তাই এটি ওজন বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। যদি সঠিক নিয়মে ওজন বাড়াতে চান তবে আজই কিসমিস খেতে পারেন।

জ্বর নিরাময়ে

কিসমিস আছে পরিমাণ মত ব্যাকটেরিয়ারোধী, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফলে এটা ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জ্বর নিরাময় করতে সাহায্য কারে।



মুখের স্বাস্থ্য রক্ষাকরনে

মিষ্টি স্বাদের জন্য কিসমিসকে অনেকেই কেন্ডির সাথে তুলনা করে ভুল করেন। এবং মনে করেন এটি দাঁত ও মুখের জন্য ক্ষতিকর হল কিসমিস। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন, তাদের ধারনা একেবারে ভুল। কিসমিসে অলিনিলীক এসিড থাকে। এটি মুখের ভিতর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার জন্মাতে প্রতিহত করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

কিসমিস শুধুমাত্র রক্তের মধ্যে থাকা বিষো উপাদান কমায় তাই না, বরং রক্তচাপও কমায়। কিসমিসের প্রধান উপাদান, পটাশিয়াম, রক্তের চাপ কমাতে সাহায্য করে। শরীরে থাকা উচ্চমাত্রার সোডিয়াম, রক্তচাপ বাড়ার প্রধান কারণ। কিসমিস শরীরের সোডিয়াম মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।


garlic


রক্তশূন্যতা দূর করতে

রক্তশূন্যতার কারণে আমদের শরীরে অবসাদ, শারীরিক দুর্বলতা, বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যতে পারে, এমনকি, বিষণ্ণতাও দেখা দিতে পারে। কিসমিসে আছে, বেশি পরিমাণে লৌহ উপাদান, যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে

খাবারে প্রচুর পরিমাণ আঁশ থাকলে কোলোরেক্টারাল ক্যান্সার ঝুঁকি কমে যায়। এক টেবিল চামচ কিসমিসে গ্রাম পরিমাণ আঁশ থাকে। কিসমিসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের কোষগুলোকে ফ্রি ্যাডিক্যাল ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সারের কোষ উৎপন্ন হওয়ায় বাধা প্রদান করে।

চোখের যত্নে

নিয়মিত কিসমিস খেলে বৃদ্ধ বয়সে অন্ধত্ব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কিসমিসে থাকে প্রচুর পরিমানে এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে।

Muktangan

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

প্রয়োজনে অবশ্যই কমেন্ট করুন, দয়াকরে কোন স্প্যাম লিঙ্ক কমেন্টে দেবেন না।