z
অন্ত:স্বত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই হবু মা-বাবা থেকে শুরু করে বাড়ির সকলেই কৌতুহলের অন্ত থাকে না, যে আগত সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে। প্রতিটি গর্ভবতী স্ত্রী নানারকম ভাবে বোঝার চেষ্টা করেন গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে। কারণ তাকে ঘিরেই তো স্বপ্ন দেখতে থাকেন বাবা-মা।
ডাক্তারী শাস্ত্র মতে গর্ভ ধারনের ২০ সপ্তাহে শিশুর লিঙ্গ র্নিধারন হয়। আধুনিক চিকিৎসায় আলট্রাস্নোগ্রাফের সাহায্যে লিঙ্গ জানা যায়। তবে ভারত সরকারের আইন অনুযায়ী চিকিৎসকরা আগে থেকে শিশুর লিঙ্গ সম্বন্ধে বাবা-মা দের কিছু জানান না।
বহু প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে
যে বাড়ির বয়ষ্ক ঠাকুমা, দিদিমা বা দাইমারা অন্ত:স্বত্ত্বা মহিলার কিছু উপসর্গ দেখে
বলতে পারেন, আগত সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে। দেখাগেছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের কথা ঠিক
হয়েছে। যদিও এগুলো কোন বিঞ্জান সম্মত উপায় নয়। চিকিৎসা শাস্ত্রে
এর কোন উপযুক্ত বিজ্ঞানসম্মত
ব্যখ্যাও নেই।
আরও পড়ুন - বিয়ের আগে কি কি পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী
আজ আপনিও জেনে নিন কোন কোন উপসর্গ
দেখে বুঝতে পারবেন গর্ভের সন্তানটি ছেলে না মেয়ে –
খাবারের প্রতি আকর্ষণ
গর্ভাবস্থায় বেশিরভাগ নারীদের
হরমোনের তারতম্য দেখা যায়। ফলে হবু মায়েদের বিভিন্ন কিছু খাওয়ার প্রবল ইচ্ছা জাগে।
যদি মিষ্টিযুক্ত খাবার বা চকলেট ইচ্ছা হয়,
তাহলে মেয়ে আর যদি ঝাল বা
নোনতা এবং মশলাদার খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হয়, তাহলে ছেলে হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
রূপ বা চেহারায় পরিবর্তন
বলা হয়, ভাবী সন্তান যদি মেয়ে
হয় তা হলে সে নাকি মায়ের সব রূপ নিজের কাছে নিয়ে নেয়। ফলস্বরূপ, মায়ের ত্বক জেল্লাহীন
হয়ে পড়ে, মুখে ব্রণ বেড়ে যায়। চুলের স্বাস্থ্যও খারাপ হয়ে যায়।
অন্যদিকে গর্ভবতী থাকাকালীন মায়ের
রূপ যদি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়, ত্বকের সাথে সাথে চুলের জেল্লা ও ঘনত্ব বেড়ে যায়, তা
হলে ভাবী সন্তান ছেলে।
আরও পড়ুন - কিভাবে আধার কার্ড সংশোধন করবেন জেনেনিন
সকালের অসুস্থতা (মর্নিং সিকনেস)
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা ঘোরা,
বমি-বমি ভাব এসব লক্ষণ দেখা দিলে আপনার আগত সন্তান ছেলে।
ব্রেস্টের মাপ
গর্ভাবস্তায় ভাবী মায়ের ব্রেস্টের মাপ এমনিতেই বেড়ে যায়। কারণ এই সময় মায়ের শরীরে দুধের সঞ্চয় হতে শুরু করে। সাধারণত হবু মায়ের ডানদিকের স্তন আকারে বড় হয়ে গেলে গর্ভস্থ সন্তান ছেলে হয়। আবার বামদিকের স্তন বড় হয়ে গেলে গর্ভস্থ সন্তান মেয়ে হয়।
পেটের অবয়ব ও অবস্থান
গর্ভবতী মায়ের পেট যদি নীচের দিকে
ঝুঁকে যায়, অর্থাৎ পেট নিচের দিকে গোল একটা বলের আকারে ফুলে থাকে, তা হলে ভাবী সন্তান
ছেলে। আর, যদি হবু মায়ের পেট যদি বেশ ছড়িয়ে প্রায় পেটের পুরো অংশ নিয়েই ফুলে ওঠে, তা
হলে গর্ভস্থ সন্তান মেয়ে হয়।
আবার গর্ভাবস্থায় পেট বেশি ভারী
মনে হলে, মেয়ে সন্তান। আর যদি ভার কম অনুভূত হয় তাহলে ছেলে সন্তান হয়।
হার্টবিট রেট
গর্ভাবস্তায়
চিকিৎসকেরা প্রায়শই বাচ্চার হার্ট রেট মেপে
থাকেন। এই সময় যদি
দেখা যায় বাচ্চার হার্ট
রেট ১৪০ বিট/ প্রতি
মিনিট (BPM) এর বেশি অথবা
সমান হয়, তাহলে শিশুটি
মেয়ে। আর যদি হৃদস্পন্দনের
রেট এর কম হয়,
তাহলে গর্ভস্থ শিশুটি ছেলে হবে।
আরও পড়ুন - কেন তিনবার শাঁখ বাজাতে হয় ? জেনে নিন
ইউরিন কালার
হবু মায়ের প্রস্রাবের রং যদি গাড়
হলদেটে হয় হলে ভাবী সন্তান ছেলে। আর যদি দেখেন উজ্জ্বল হলুদ রঙের প্রস্রাব হচ্ছে, তাহলে
ভাবী সন্তান মেয়ে।
শোওয়ার ধরন
গর্ভবতী মা যদি বামদিকে কাত হয়ে শুতে পছন্দ করেন, তা হলে ভাবী সন্তান হয়তো ছেলে। আবার, মায়ের যদি ডানদিকে পাশ ফিরে ঘুমোতে বেশি আরামবোধ হয়, তা হলে ভাবী সন্তান মেয়ে।
মায়ের ওজন বৃদ্ধির হার
গর্ভাবস্থায় মায়ের চেহারায় যদি
সামনের অংশ বেশি ভারী হয়ে যায় তবে মনে করা হয়, হবু সন্তান ছেলে। আর যদি মায়ের নিতম্ব
এবং নিম্নাঙ্গে চর্বি জমলে বলা হয় হবু সন্তান মেয়ে।
পেটের দাগ বা লিনিয়া নিগ্রা
গর্ভবতী মায়ের পেটের ওপরে একটা
গাঢ় রঙের লাইন দেখা যায় একে লিনিয়া নিগ্রা (Linea Nigra) বলে। এই দাগ তলপেটের নিচের
দিক থেকে নাভি অবধি যায়, সেটা দেখা যায় যদি আপনার কন্যা সন্তান পেটে হয়।
যদি সেই দাগটি গর্ভাবস্থার শেষের দিকে মিলিয়ে যায়, আশা করতে পারেন যে ছেলে সন্তান হতে চলেছে। অন্য মতে - দাগটি যদি তলপেটের নিচের দিক থেকে শুরু করে পাঁজর অবধি আসে, তাহলে আপনার গর্ভে ছেলে সন্তান আশা করতে পারেন।
আরও পড়ুন - বাড়িতে আরশোলা মুক্ত করার ১০ টি ঘরোয়া পদ্ধতি
মনে মনে প্রার্থনা করুন, যে আপনাদের
কোলে আসতে চলেছে, ছেলে বা মেয়ে যাই হোক, সে যেন সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে পৃথিবীতে আসে।
এবং আগামী দিন গুলিতে আপনাদের আনন্দে ভরিয়ে রাখে। হাজার হোক সে আপনার অতি আদরের নাড়ি
ছেঁড়া ধন। তাই কোন রকম গুজবে কান দিয়ে মনে মনে কিছু নিশ্চিত বলে ধরে নেবেন না। যুক্তি
দিয়ে, বিচারবুদ্ধি দিয়ে বিশ্লেষণ করে তবেই কোনও তথ্য বিশ্বাস করুন। শেষে আবারও বলি
ওপরের দেওয়া তথ্য গুলির সুর্নিদিষ্ট বিজ্ঞান সম্মত কোন ব্যখ্যা নেই। ভালো থাকুন, আনন্দে
থাকুন আর আগামী প্রজন্মকে কোলে নেওয়ার জন্য দিন গুণতে থাকুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
প্রয়োজনে অবশ্যই কমেন্ট করুন, দয়াকরে কোন স্প্যাম লিঙ্ক কমেন্টে দেবেন না।