অনলাইনের মাধ্যমে ব্যাঙ্কের লেনদেন করার আগে লক্ষ্য রাখুন প্রত্যেকটি ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট নেট ব্যাঙ্কিং-এর জন্য ওয়েবসাইট আছে, সেই ওয়েবসাইটে গিয়েই লেনদেন করুন। মোবাইল থেকে নির্ভরযোগ্য ইউপিআই অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন - এটিএম প্রতারনা চক্র বর্তমানে দুশ্চিন্তার একটি কারন
সাইবার অপরাধীরা তথ্য হাতানোর জন্য বেশিরভাগ সময়ে পরিচিত ওয়েবসাইটের মতো একই ধরনের সাইট তৈরি করে। কিন্তু তাতে বানানের সামান্য অদলবদল থাকে। অতএব ওয়েবসাইটি ওপেন করার পর বানান খুঁটিয়ে দেখে নিন। লেনদেনের ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের আগে ‘https://’ রয়েছে কি না অবশ্যই দেখে নিন। ওয়েবসাইটের আগে ‘https://’ থাকলে তা লেনদেনের জন্য নির্ভরযোগ্য। শুধু ‘http’ থাকলে সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একদন লেনদেন করবেন না।
আমরা বাঙালীরা অফার, ফ্রি গিফ্ট-এর দিকে একটু বেশি নজর, আর সেই সুযোগের সম্পূর্ণ ব্যবহার করছে জালিয়াতরা। দেখা গেছে বেশিরভাগ সময়ে অ্যাকাউন্টে কয়েক হাজার পাউন্ড বা ডলার জমা পড়েছে বা মোটা অঙ্কের লটারি জিতেছেন বলে মেসেজ বা ই-মেল আসে। তার সঙ্গে একটি লিঙ্ক থাকে। সেখানে ক্লিক করলেই অজান্তে ম্যালওয়ার বা ভাইরাস কম্পিউটার অথবা মোবাইলে ঢুকে পড়বে এবং সব তথ্য চুরি হয়ে যাবে। লকডাউনের সময়ে স্বাস্থ্য দফতর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নাম করেও মেল আসছে। খতিয়ে না-দেখে নেহাত কৌতূহলবশত অ্যাটাচমেন্ট বা লিঙ্ক খোলা উচিত নয়।
সিনেমা বা গান ডাউনলোড করার জন্য অনেক সময় সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে বা ফর্ম ফিলআপ করতে বলা হয়। সেক্ষেত্রে বলব কোন ওয়েবসাইট থেকে বই, সিনেমা বা গান নিচ্ছেন সেটা আগে খতিয়ে দেখা উচিত। ভুঁইফোড় কোনও জায়গায় ব্যক্তিগত তথ্য দেবেন না, বা কোনও সফটওয়্যার ডাউনলোড করবেন না। তাতে ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকারদের হতে চলে যেতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুত্বকে প্রাথমিক ভাবে ভার্চুয়াল জগতেই রাখুন। অচেনা বন্ধুকে ব্যক্তিগত তথ্য দেবেন না, বা আর্থিক লেনদেনে যুক্ত করবেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে তার পর টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। কলকাতায় এর আগে এমন বহু অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। অপরিচিত কোনও ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ত্রাণের চাঁদা পাঠানোর ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
প্রয়োজনে অবশ্যই কমেন্ট করুন, দয়াকরে কোন স্প্যাম লিঙ্ক কমেন্টে দেবেন না।