পৃষ্ঠা

যানজট এড়িয়ে মেট্রোতে দেখুন কলকাতার সেরা পুজো গুলি

 

পুজোতে কলকাতার রাস্তাঘাট যানজটে নাস্তানাবুত অবস্থা, দীর্ঘক্ষন গাড়ি দাড়িয়ে থাকে ট্রাফিকে, বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে মেট্রোতে অল্প সময়ে খুব সহজেই পৌছে যেতে পারেন কলকাতার সেরা পুজো প্যান্ডেল গুলিতে।  আসুন দেখেনিই কোন মেট্রো স্টেশনের পাশে কলকাতার কোন সেরা পুজো হয়েছে ।


durgapuja

 

 

নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশন

  • নোয়াপাড়া উদয়ন সঙ্ঘ


দমদম মেট্রো স্টেশন

  • সিঁথি সর্বজনীন
  • ১৪-এর পল্লি


বেলগাছিয়া মেট্রো স্টেশন

  • বেলগাছিয়া ওলাইচণ্ডী
  • টালা পার্ক
  • নেতাজি স্পোর্টিঁং
  • লেক টাউন আ্যাসোসিয়েশন
  • যুবক বৃন্দ
  • দমদম পার্ক ভারতচক্র
  • শ্রীভূমি স্পোর্টিঁং


শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশন

  • বেনিয়াটোলা
  • কুমোরটুলি পার্ক
  • আহিরীটোলা সর্বজনীন
  • শোভাবাজার রাজবাড়ি
  • হাতিবাগান সর্বজনীন
  • তেলেঙ্গা বাগান
  • চালতা বাগান

 গিরিশ পার্ক মেট্রো স্টেশন

  • সিমলা ব্যায়াম সমিতি
  • বিবেকানন্দ স্পোর্টিং
  • রবীন্দ্র কানন
  • পাথুরিঘাটা ৫-এর পল্লি


মহাত্মা গাঁধী মেট্রো স্টেশন

  • মহম্মদ আলি পার্ক
  • কলেজ স্কোয়ার
  • শিয়ালদা অ্যাথলেটিক্স


সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন

  • সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার
  • সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার


চাঁদনী চক মেট্রো স্টেশন

  • জানবাজার সর্বজনীন
  • তালতলা সর্বজনীন
  • ওয়েলিংটন নাগরিক কল্যাণ সমিতি


রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশন

  • গোখলে স্পোর্টিং
  • চক্রবেড়িয়া সর্বজনীন


নেতাজি ভবন মেট্রো স্টেশন

  • ৬৮ পল্লি
  • ৭৬ পল্লি
  • ভবানীপুর ৭৫ পল্লি
  • ২২ পল্লি
  • পদ্মপুকুর সমিতি
  • হরিশ পার্ক
  • অগ্রদূত উদয় সঙ্ঘ
  • ভবানীপুর স্বাধীন সঙ্ঘ


যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশন

  • ম্যাডক্স স্কোয়ার
  • ২৩ পল্লি
  • ফরওয়ার্ড ক্লাব
  • মাতৃমন্দির
  • বকুলবাগান
  • যতীন দাস পার্ক


কালীঘাট মেট্রো স্টেশন

  • ত্রিধারা
  • চেতলা অগ্রণী
  • বাদামতলা আষাঢ় সঙ্ঘ
  • দেশপ্রিয় পার্ক
  • সমাজসেবী
  • ৬৬ পল্লি
  • হিন্দুস্তান পার্ক
  • বালিগঞ্জ কালচারাল
  • একডালিয়া এভারগ্রিন
  • সিংহি পার্ক
  • বোসপুকুর শীতলা মন্দির


রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন

  • সুরুচি সঙ্ঘ
  • শিবমন্দির
  • মুদিয়ালি


মহানায়ক উত্তমকুমার মেট্রো স্টেশন (টালিগঞ্জ)

  • ৪১ পল্লি
  • অজেয় সংহতি
  • অশোকনগর
  • বড়িশা ক্লাব
  • বড়িশা উদয়ন পল্লি
  • শীতলাতলা কিশোর সঙ্ঘ


মাস্টারদা সূর্য সেন মেট্রো স্টেশন

  • রিজেন্ট পার্ক
  • আজাদগড় সর্বজনীন


গীতাঞ্জলি মেট্রো স্টেশন

  • নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ


কবি নজরুল মেট্রো স্টেশন (গড়িয়া বাজার)

  • নবদুর্গা
  • গড়িয়া মিতালি
  • তরুণ সাথী
  • শ্যামাপল্লি
  • নারকেলবাগান সর্বজনীন


শহীদ ক্ষুদিরাম মেট্রো স্টেশন

  • পাটুলি ক্লাব


কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন

  • সন্তোষপুর লেক পল্লি
  • পল্লিমঙ্গল
  • সন্তোষ ত্রিকোণ পার্ক



বিষহীন বা বিষধর সাপে কামড়ানোর লক্ষণ, সাপে কামড়ালে কি করবেন - কি করবেন না


snake bite


বর্ষাকালে প্রচুর মানুষ সাপের কামড়ে প্রাণ হারান। গ্রাম বাংলায় এর পরিসংখ্যানটা বেশি। সাধারণত আমরা চারপাশে যত ধরনের সাপ দেখতে পাই তারমধ্যে গুটিকয়েক সাপের মারণ বিষ আছে, বেশির ভাগ সাপের মানুষ মারার মত বিষ নেই। একটু সতর্ক হলেই আমরা সাপে কামড়ানো প্রচুর রোগীর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।




বিষহীন সাপে কামড়ানোর লক্ষণ


  • ক্ষতস্থান থেকে তাজা গাঢ় লাল রক্ত চুঁইয়ে পড়বে, কিছুক্ষণের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধবে।
  • কোন যন্ত্রনা হবে না, জ্বালা করলে তা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। তবে ফুলবে না।
  • ভয়ে কাঁপতে পারে তবে তা সামান্যই।
  • রোগী ঝিমিয়ে পড়বে না।
  • খিঁচুনি আসবে না।


বিষধর সাপে কামড়ানোর লক্ষণ





চন্দ্রবোড়া সাপে কামড়ানোর লক্ষণ 

 

snake

 

  • কামড়ের সঙ্গে সঙ্গে তীব্র জ্বালা-যন্ত্রনা শুরু হবে। চুঁইয়ে- চুঁইয়ে রক্ত বের হবে।
  • কামড়ের জায়গাটা দ্রুত ফুলতে থাকে। ক্ষতস্থানে রং চটে যায়।
  • জ্বালা-যন্ত্রনা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
  • চোখ লাল হয়ে রক্তবর্ণ ধারন করে।
  • কোমর ও পাঁজরের নিচের দিকে ব্যথা হয়।
  • সারা শরীর ফুলতে থাকে।
  • মুত্র ত্যাগ বন্ধ হয়ে যায়।
  • চোখের কোনা, দাঁতের মাড়ি, নাক, থুতুর সঙ্গে, বমির সঙ্গে, পায়খানা বা মুত্রের সঙ্গে রক্ত আসতে পারে।



কালাচ সাপে কামড়ানোর লক্ষণ 

 

snake

 

  • কামড়ের স্থান অসাড় হয়ে যায়। ফলে কোন জ্বালা বা যন্ত্রণা হয় না ।
  • ব্যথা বা ফোলা হয় না। অনেক সময় সাপে কামড়ানোর কোন দাগও পর্যন্ত থাকে না।
  • কামড়ের এক থেকে দেড় ঘন্টা পর শুরু হয় পেট ব্যথা।
  • হাত ও পায়ের গাঁটে গাঁটে ব্যথা শুরু হয়। সারা শরীরে ব্যথা বা যন্ত্রনা শুরু হয়।
  • বমি হতে শুরু করে বা প্রচন্ড বমি বমি ভাব, পায়খানা শুরু হয় বা পায়খানার বেগ।
  • মুখ থেকে লালা নিঃস্বরণ হয়। গলায় ব্যথা হয়।
  • ঢোক গিলতে কষ্ট, গলা বন্ধ হয়ে যায়।
  • কথা বলতে কষ্ট হয়, নাকি নাকি স্বরে কথা হয়ে যায়।
  • চোখের পাতা বন্ধ হয়ে আসে। দ্বৈত দৃষ্টি সৃষ্টি হয়।



কাউকে সাপ কামড়ালে কি করবেন


  • রোগীকে শান্ত রাখুন, কোন রকমভাবেই উত্তেজিত করা যাবে না। রোগীকে বোঝান বেশিরভাগ কামড় বিষহীন সাপের দ্বারা হয়। বর্তামানে সাপের কামড়ের অত্যাধুনিক উন্নত চিকিৎসা আছে। সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে।
  • রাগীকে দুর্ঘটনাস্থল থেক সরিয়ে দিন। যে জায়গায় কামড়েছে তা নিশ্চল করুন।
  • রোগীর শরীরে আংটি, বালা, চুড়ি, তাগা, বুট জুতো, মোজা বা কোন শক্ত বাধন থাকলে তা খুলে দিন। ক্ষতস্থান ফুলতে শুরু করলে যাতে কোন অসুবিধা না হয়।
  • যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
  • মনে রাখতে হবে বিষাক্ত সাপের কামড়ের একমাত্র চিকিৎসা হল এভিএস। সমস্ত সরকারী হাসপাতালে বিনামূল্যে এভিএস পাওয়া যায়।



কাউকে সাপ কামড়ালে কি করবেন না 

  • ক্ষতস্থান ব্লেড দিয়ে চিরে বা টিপে ধরে বা চুষে রক্ত বের করার চেষ্টা করবেন না।
  • চিকিতসককে চেনানোর জন্য সাপটিকে ধরার চেষ্টা করবেন না।
  • ক্ষতস্থানের উপরে কোন বাঁধন দেবেন না।
  • ক্ষতস্থানে কোন গরম বা ঠান্ডা জল বা পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দিয় ধোয়ার প্রয়োজন নেই।
  • কোন হাতুড়ে ডাক্তার, ওঝা, গুণিন, টোটকা, জড়িবুটি বা ঝাড়ফুক করে অযথা সময় নষ্ট করবেন না।
  • মনে রাখবেন, সঠিক চিচিকিৎসা ও সচেতনার অভাবে প্রতি বছর বহু মানুষ সাপের কামড়ে মারা যাচ্ছে।

ঘরোয়া উপায়ে মশা তাড়ানোর 10 টি পদ্ধতি

 

 মশার কামড়ে বিরক্ত হননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সন্ধ্যা নামতেই ঘরে ঢুকে পড়ছে মশা। মশার জ্বালায় অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছেন তো আপনি।   মশার কামড় থেকে মানব শরীরে বাসা বাঁধতে পারে চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া, পীত জ্বর, জিকা ভাইরাস মতো মারণ রোগ।  মশা তাড়ানো ধুপ, কয়েল, রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করে অনেক সময় মশার উপদ্রব কমলেও এইসব রাসায়নিক পদার্থ গুলি শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।  তাই আজকাল অনেকেই বাজার চলিত এই সমস্ত রাসায়নিক পণ্য গুলি ব্যবহার করতে চাইছেন না, আসুন দেখেনি একদম ঘরোয়া উপায়ে মশা তাড়ানোর 10টি পদ্ধতি।

 



নিম পাতা ও নিম তেল


নিমের ঔষধি গুণাগুণের কথা জানে না এমন মানুষ পাওয়া বিরল। নিপ পাতা ভাল করে রোদে শুকিয়ে গুড়ো করে নিন। সন্ধ্যায় ঘরে ধুনোর সঙ্গে গুড়ো নিম পাতা ছড়িয়ে দিন নিমের ধোঁয়ায় ঘরের মশা-মাছি পালিয়ে যাবে।
নিমের তেল মানব ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এ ছাড়াও নিম তেলে রয়েছে মশা তাড়ানোর বিশেষ গুণ। মশার কামড় থেকে বাঁচতে নিমের তেল ও নারিকেল তেল সমপরিমাণ মিশিয়ে হাত-পায়ের চামড়ায় লাগিয়ে রাখতে পারবেন।

 

 লেবু ও লবঙ্গ

লেবু আধা-আধি গোল করে কেটে ভেতরে অনেকগুলো লবঙ্গ গেঁথে দিতে হবে। লেবুর মধ্যে লবঙ্গ এমন ভাবে ঢোকাতে হবে যাতে লবঙ্গের মাথার দিকের অংশ (ফুল) বাইরে থাকে। এরপর লেবুর টুকরাগুলো একটি পাত্রে করে ঘরের কোনায় রেখে দিন।  এতে বেশ কিছু দিন মশার উপদ্রব কমবে। চাইলে এগুলিকে জানালা এবং দরজার পাশে রাখতে পারেন (যে সব জায়গা দিয়ে মশা ঘরে ঢোকে)। এতে মশা আর ঘরে ঢুকবে না। 

 

কর্পূর

কর্পূরের উগ্র গন্ধ মশা সহ অনেক পতঙ্গ একদমই সহ্য করতে পারে না। তাই মশা তাড়াতেও ভাল কাজ করে  কর্পূর ।  ঘরের সমস্ত সমস্ত দরজা-জানালা বন্ধ করে একটি পাত্রে এক টুকরো কর্পূর জ্বালাতে হবে।  প্রায় 20 - 30 মিনিট পর দরজা-জানালা খুলে দিন, দেখবেন সমস্ত মশা চলে গেছে।
তাছাড়া বাটিতে জল নিয়ে ঐ জলের মধ্যে কর্পূররে বড়ি দিয়ে ঘরের কোনায় কোনায় রাখুন, দেখবেন কর্পূরের গন্ধে ঘরে আর মশা আসবে না।  এটি একটি সাশ্রয়ী প্রতিকার।


পুদিনা পাতা

পুদিনা পাতা কিন্তু মশা তাড়াতেও সমান কার্যকরী।  একটি গ্লাসে কিছুটা জল নিয়ে তাতে পাঁচ থেকে ছয় গাছি পুদিনাপাতার ডাল দিয়ে ঘরের টেবিলে রেখে দিন ।  দুই-তিন দিন অন্তর গ্লাসের জল পরিবর্তন করলে ভালো হয়।  মশা সহ অনেক পোকামাকড় পুদিনার গন্ধ সহ্য করতে পারে না, ফলে অনেক ধরনেরই পোকামাকড় ঘরে আসে না। এছাড়া কিছুটা পুদিনাপাতা মিক্সি করে জলে ভালো করে ফুটিয়ে সেই জল ঘরে ছড়িয়ে বা স্প্রে করে দিতে পারেন। এতেও ঘরে মশার উপদ্রব কমবে।

 

ন্যাপথলিন

কর্পূরের মত ন্যাপথলিনের উগ্র গন্ধ মশা সহ্য করতে পারে না। তাই মশা তাড়াতে ন্যাপথলিন ব্যবহার করা হয় ।  ছোট ছোট বোতলের মধ্যে 2-3 টি ন্যাপথলিন দিয়ে বোতলের মুখ খুলে ঘরের কোনায় কোনায় রেখে দিন, দেখবেন মশা  অনেকটাই কমেগেছে।  প্রসঙ্গত বলি এই পদ্ধতি অবলম্বন করে আমাদের অফিসে মশার উপদ্রব অনেকটাই কমেছে।

 

চা পাতা

ঘরোয়া পদ্ধতিতে মশা তাড়ানোর সবচেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী পদ্ধতি হলো চা পাতা। বাড়িতে চা করার পর ব্যবহৃত চা পাতা ফেলে না দিয়ে তা ভাল করে রোদে শুকিয়ে নিন।  শুকনো চা পাতা পোড়ানোর ধোঁয়ায় মশা-মাছি ঘর থেকে পালিয়ে যাবে।

 

রসুন

রসুনের উগ্র গন্ধ পোকামাকড় এবং মশা-মাছি অপছন্দ করে।  অতিরিক্ত রসুনের রস মশার জন্য প্রাণঘাতী। পাঁচ ভাগ জলে এক ভাগ রসুনের রস অথবা 4-5 কোয়া রসুন ভালো করে থেঁতো করে কিছুটা জলে মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে.  একটি স্প্রে বোতলে দ্রবণটি ছেকে ভরে সারা ঘরে স্প্রে করে দিতে পারেন। বা শরীরের যেসব স্থানে মশা কামড়াতে পারে, সেসব স্থানে স্প্রে করতে পারেন।

 

লেমন গ্রাস

 


 লেমন গ্রাসের একটা সুন্দর গন্ধ আছে,  কিন্তু এই গন্ধ মশাদের একদমই অপছন্দ। বাড়ির আশপাশে লেমন গ্রাসের ঝাড় রাখতে পারেন।  তাছাড়া লেমন গ্রাস দেখতেও মন্দ নয়। টবে লেমন গ্রাস লাগিয়ে সেটিকে সুন্দর করে কেটে-ছেটে ঘরেও রাখতে পারেন। দেখবেন ঘরে মশা একদমই থাকবে না।

 

সুগন্ধি ব্যবহার

রাতে ঘুমানোর আগে শরীরে খোলা জায়গায় আতর, পারফিউম বা সুগন্ধি লোশন মাখলে মশা আপনার কাছে কম যাবে। কারন মশারা কোনরকম গন্ধ পছন্দ করে না।

 

গাঢ় রঙ

সবশেষে বলব খয়েরী, লাল, কালো, নীল এত্যাদি গাঢ় রঙের প্রতি মশা আকৃষ্ট হয়। মশা গরমের প্রতিও সংবেদনশীল। তাই ঘর ঠান্ডা রাখুন, ঘরের দেওয়ালের রঙ হালকা রাখুন আর পোশাক ও পড়ুন হালকা রঙের।


পরিশেষে বলব, বাড়ির আশেপাশে নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার রাখুন, কোথাও জল জমতে দেবেন না। এ.সি. ফ্রিজ ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গা পরিষ্কার রাখুন, যাতে দীর্ঘদিন জল না জমে থাকে।

বিষধর ও বিপজ্জনক সাপ গুলিকে সহজেই চিনেনিন এবং জানুন ওদের গতিপ্রকৃতি

 

snake


সাপ শুধু নামটাই যথেষ্ট, গায়ের মধ্যে একটা শীহরণ তৈরী হয়। সরিসৃপ প্রজাতির এই প্রাণীটিকে প্রায় সারা বছরই বিশেষ করে বর্ষার সময় বেশি করে আমাদের নজরে আসে। প্রতি বছর প্রচুর মানুষ সাপের কামড়ে প্রাণ হারান। সাধারণত আমরা চারপাশে যত ধরনের সাপ দেখতে পাই তারমধ্যে গুটিকয়েক সাপের মারণ বিষ আছে, বেশির ভাগ সাপের মানুষ মারার মত বিষ নেই। গায়ের রং, শরীরের গঠন, মাথার আকৃতি, চলাচলের প্রকৃতি ইত্যাদি বেশকিছু বৈশিষ্ট থেকে আমরা সহজেই বিষধর সাপ গুলিকে সহজেই চিনে নিতে পারি। আসুন জেনে নেই এই উপমহাদেশে সর্বাধিক দেখা যায় সেই সমস্থ সাপ গুলির বৈশিষ্ট এবং গতি প্রকৃতি।


কেউটে

snake

গায়ের রং ধুসর বা কালো  কোন কোন ক্ষেত্রে সাদা বা হলুদ ডোরা কাটা দাগ থাকে

ফণার পেছনে একটি চোখের মতো চিহ্ন আছে

সাধারণত রাতে বের হয়

জলা জায়গায় থাকতে পছন্দ করে কৃষিজমি মজুত খাদ্যশস্যের কাছে এদের দেখা যায়

এরা ইঁদুর, ব্যাঙ, মাছ ছোট সাপ খায়

কেউটে সাপের অন্যান্য নাম - গেঁড়ি ভাঙা, শামুক ভাঙা, তপ ইত্যাদি

সাপটি বিষধর

 

শাঁখামুটি

snake

দেহ ত্রিকোনাকার লেজ ভোঁতা

উজ্জ্বল হলুদ কালো চওড়া ডোরা কাটা দাগ থাকে

সাধারণত রাতে বের হয়, খোলা জায়গায় চলাফেরা করে

খুব শান্ত প্রকৃতির, খুবই কম কামড়ায়

এরা কালাচ চন্দ্রবোড়া সাপদের খেয় নেয়. তাই শাঁখামুটি  থাকলে সেখানে কালাচ চন্দ্রবোড়া কম দেখা যায়

সাপটি বিষধর


আরও পড়ুন বাড়ি আরশোলা মুক্ত করার ১০ টি ঘরোয়া পদ্ধতি


বেত আছড়া

snake

দেহ লম্বা এবং সরু শরীরের দুদিকে গাঢ় বাদামী বা কালো ছোপ ছোপ থাকে, শরীরে পেছনের রং তামাটে বা কালচে বাদামী

গাছের ওপর, কাঁটা ঝোপ, সোজা দেওয়ালে এরা সহজেই উঠতে পারে

সাধারণত দিনের বেলাতে দেখা যায়

খুব দ্রুত চলাফেরা করে, একটু ভিতু স্বভাবের

ব্যাঙ, টিকটিকি পাখির বাচ্চা, এবং পিঁপড়ের ডিম খায়

সাপটি বিষহীণ

 

দুধরাজ

snake

দেহ লম্বা সরু, রং তামাটে

ঘাড়ের কাছে দুটো কালো এবং সারা দেহে ডোরাকাটা দাগ আছে দেহের পেছনের দিকে দুটি গাঢ় বাদামী বা কালো দাগ লেজ পর্যন্ত বিস্তৃত

উইয়ের ঢিবি বা পাথরের খাঁজে দেখা যায়

উত্তেজিত হলে ইংরেজি এস অক্ষরের মতো দেহ পেঁচিয়ে কমড়াতে আসে

প্রধান খাবার - ইঁদুর, ব্যাঙ, টিকটিকি, কাঠবেড়ালি অন্যান্য ছোট সাপ

সাপটি বিষহীণ

 

গোখুরা বা গোখরো

snake
রং বাদামী, ফণাযুক্ত, ফনার পেছনে গরুর খুরের মতো চিহ্ন দেখে সহজে চেনা যায়

উত্তেজিত হলে ফণা তুলে হিস্ হিস্ শব্দ করে এবং জোড়ে আঘাত করে

কৃষিজমি বাড়িতে মজুত রাখা খাদ্যশস্যের কাছে এদের বাশি দেখা যায়

সাধারণত রাতে বের হয়,  দ্রুত চলাফরা করে

প্রাধান খাবার - ইঁদুর, ব্যাঙ, পাখি অন্যান্য ছোট সাপ

অন্যান্য নাম - খরিস, দুধে খরিস, পদ্ম বা তেতুলে খরিস ইত্যাদি

সাপটি বিষধর

 

আরও পড়ুন -  রাস্তায় কুকুর তাড়া করেছে ?  কি করবেন ?

 

পুঁয়ে সাপ

snake
আকৃতিতে খুবই ছোট, অনেকটা বড় সাইজের কেঁচোর মত

চোখে দেখতে পায়না

চকচকে বাদামী বা কালো রঙের হয়

গর্তে থাকে এবং জীবনের বেশিরভাগ সময়তেই ভেজা স্যাতস্যাতে মাটি বা ভারী বস্তুর নীচে থাকে

প্রধান খাদ্য - পিঁপড়ে এবং ছোট পোকা

সাপটি বিষহীন

  

চন্দ্রবোড়া

snake
রং হলদেটে বা বাদামী যার ওপর গাঢ় বাদামী বা চকলেট কালারের চাকা চাকা দাগ থাকে দেহ মোটা

মাথা তিন কোনা এবং ঘাড়ের থেকে চওড়া

ঝোপ ঝাড়, পাতার স্তুপ, ইঁটের স্তুপ, কৃষি জমির আশেপাশে এদের দেখা যায়

প্রধান খাদ্য ইঁদুর ব্যাঙ

ধীর গতিতে চলাফেরা করে কিন্তু প্রবল বেগে আঘাত করতে পারে

উত্তেজিত হলে কুকারের সিটির মত হিস হিস শব্দ করে

কামড়ালে দ্রুত চিকিতসার প্রয়োজন

সাপটি তীব্র বিষযুক্ত

 

লাউডগা

snake
লাউগাছের ডগার মতো সরু পাতলা লিকলিকে, রং সবুজ. মাথাটা তীরের ফলার মতো

দিনের বেলায় গাছের ডালে বা ঝোপে দেখা যায়

গাছে থাকে বলে সাধারণত মাথায় বা মুখে কামড় দেয়

প্রধান খাদ্য -- টিকটিকি, ব্যাঙ, ছোট পাখি ইঁদুর

বিষ খুবই ক্ষীণ, শিকারকে নিস্তেজ করে গিলতে সাহায্য করে

এই সাপের বিষ মানুষের কোন ক্ষতি করে না


 

আরও পড়ুন -   বিয়ের আগে কি কি পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী


মেটেলি

snake
দেহ মোটা, রং জলপাই, ধুসর বা বাদামী আঁশ মসৃণ

দিনের বেলায় দেখা যায়

সাধারণত জলে বা ডোবায় থাকে

প্রধান খাদ্য -- মাছ, টিকটিকি, ব্যাঙ ব্যাঙাচি

সহজে কামড়ায় না তবে কামড়ালে আঘাতের জায়গা ফুলে যায় এবং কিছুক্ষণ দপ দপ করে

এই সাপের বিষ মারাত্মক নয়

 

 কালনাগিনী

snake
দেহ লম্বাটে সরু

বহু রং বিশিষ্ট, দেখতে সুন্দর

দিনের বেলায় গাছের ডালে বা ঝোপে দেখা যায়

উড়তে পারে না, তবে হাওয়ার সাথে ভেসে প্রায় 100 মিটার পর্যন্ত লাফাতে পারে

প্রধান খাদ্য ব্যাঙ, টিকটিকি, ছোট পাখি বাদুর

ক্ষীণবিষ শিকারকে নিস্তেজ করে গিলতে সাহায্য করে

এই সাপের বিষে মানুষের মৃত্যু হয় না

 

ঘরচিতি

snake
রং বাদামী গায়ে সাদা বা হলুদ রঙের চওড়া দাগ থাকে, দাগগুলি শরীরের সামনের দিকে স্পষ্ট

ঘাড়ের কাছে সাদা বা হলদেটে রঙের হয়. ঘাড়ে থেকে মাথা চওড়া

প্রধান খাদ্য টিকটিকি ব্যাঙ

সন্ধ্যার পর বাড়ির মধ্যে দেখা যায়. উত্তেজিত করলে কামড়ে দায়

অনেকে এই সাপটিকে কালচিতি ভেবে ভুল করে

সাপটি বিষহীণ

 



জলঢোঁড়া

snake
রং হলুদের ওপর কালো ছোপ

জলাশয়, নর্দমা, পুকুর বা ডোবার জলে এদের দেখা যায়

বিরক্ত করলে কামড় দেয়

প্রধান খাদ্য জলের পোকা, মাছ, ব্যাঙ ইত্যাদি

সাপটি বিষহীণ

  


আরও পড়ুন -  ভেলোরে চিকিৎসা করাতে চান, জেনে রাখুন ভেলোর সম্বন্ধে বিস্তারিত খুঁটিনাটি


তুতুর

snake
দেহ মোটা এবং ছোট. লেজ ছুঁচালো

শরীরে বাদামী বা কালো বড়ো অসম্পূর্ণ চাকা দাগ থাকে

কৃষি জমি, বাগান ইত্যাদি জায়গায় বেশি দেখা যায়

খুব অলস প্রকৃতির, আস্তে চলাফরা করে উত্তেজিত হলে আক্রমন করে

প্রধান খাদ্য পোকামাকড়, টিকটিকি, ছোট সাপ, পাখি ইঁদুর

অনেকে একে ফুরসা, চন্দ্রবোড়া বা ময়াল সাপ ভেবে ভুল করে

সাপটি বিষহীণ

 

হেলে

snake
দেহ সরু, রঙ হালকা বাদামী বা হলুদ, শরীরের ওপর দুটি হলুদ ফুতের মতো দাগ গলা থেক লেজ পর্যন্ত বিস্তৃত

প্রধান খাদ্য  ব্যাঙ, ইঁদুর, টিকটিক পোকামাকড়

মাঠ, স্যাতসেতে জায়গা বা জলাশয়, ঝোপ ঝাড়, বাগানে দেখা যায়

এদের দিনের বেলাতে দেখা যায়

শান্ত স্বভাবের

সাপটি বিষহীণ

 

উদয়কাল

snake
রং হালকা বাদামী, পিঠের ওপর স্পষ্ট কালো বা গাঢ় বাদামী রঙের চাকা চাকা দাগ আছে

মাথায় তিনটি তিরের মতো চিহ্ন আছে

সন্ধ্যায় এবং রাতে বের হয়

ইঁট বা পাথরের স্তুপ, গাছের গুঁড়ি বা পুরানো বাড়িতে দেখা যায়, খুব শান্ত স্বভাবের

প্রধান খাবার টিকটিকি, ইঁদুর, সরীসৃপের ডিম পোকামাকড়

সাপটি বিষহীণ

 

কালাচ

snake
রং কালো, ঘাড়ের নীচ থেকে লেজ পর্যন্ত সারা শরীরে সরু চুড়ির মতো সাদা দাগ থাকে

মুলত রাতে বের হয়

সাপটি তীব্র বিষযুক্ত। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে অন্যতম বিষধর সাপ এটি

এই সাপের কামড় ১০০ শতাংশ বিপজ্জন কামড়ের জায়গাটা অসাড় হয়ে যায়, ফলে জ্বালা বা যন্ত্রনা হয় না অনেক ক্ষেত্রে কামড়ে কোন দাগও থাকে না

সময় মত এভিএস (সাপে কামড়ের ওষুধ) না দিলে মৃত্যু অনিবার্য

কালচিতি, জোমনা চিতি, ডোমনা বোড়া, শিয়র চাঁদা বা শংখচিতি নামেও পরিচিত


muktangan